সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে মাহবুবুল নামে এক জেনারেটর ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী আলম গংরা।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াই টায় ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মো, মাহবুবুল হক বাবলু (৫১) হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের মামা এড. মজিদ খন্দকার জানান, আমার ভাগিনা মাহবুবুল শান্ত স্বভাবের মানুষ। সে কখনো কারো সাথে ঝগড়া করতো না। সে পেশায় একজন মেকানিক। পাশাপাশি সে বিশ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে জেনারেটর ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বছরখানেক যাবৎ ফফুল্লা এলাকার বেনু মিয়ার ছেলে আলম ও তার ভাইয়েরা জোর পূর্বক মাহবুবুলের জেনারেটর ব্যবসা দখল করতে চাচ্ছে। আজ রাত আড়াইটায় আমার ভাগিনা হাজীগঞ্জ বাজারে চা খেতে আসে এমন সময় আলম, রাকিব, পলাশ, খালেক সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ৭/৮ জন মিলে হঠ্যাৎ এসে মাহবুবুলের উপর হামলা চালায়। তারা তাকে বেধরকভাবে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। মাহবুবুলের ডাক চিৎকারে আশেপাশে লোকজন আসলে আলমরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে খানপুর হাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে একজনকে আটক করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, হাজীগঞ্জে বাজারে এক চায়ের দোকানে জেনারেটর ব্যবসা নিয়ে নিহত মাহবুবুলকে মারধর করা হয়। মারধরের পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় লোকজন খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় রাকিব নামে একজন আটক রয়েছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মাহবুবুল হত্যা ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রাকিব নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।